নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমবার পঞ্চম পর্বের ভোটের পর নির্বাচন
কমিশনার আবদুল মোবারক সাংবাদিকদের বলেন, সিইসি
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরলে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
৪৮৭ উপজেলার মধ্যে পাঁচ পর্বে সাড়ে চারশ’র বেশি
উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষার পর মে
মাসের প্রথম সপ্তাহে ষষ্ঠ পর্বের ভোট করার পরিকল্পনা ছিল ইসির।
মোবারক বলেন, “ষষ্ঠ
ধাপে বাকি উপজেলার ভোট শিগগির হচ্ছে না। এ
উপজেলাগুলোর মেয়াদ শেষ হবে জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে। সুতরাং
নির্ধারিত সময়ে তার ভোট করা হবে।”
তবে তৃতীয় ধাপে স্থগিত হওয়া নোয়াখালী সদর
উপজেলার নির্বাচন এরই মধ্যে করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
ষষ্ঠ ধাপে অন্তত ২০টি উপজেলার ভোট হবে।
শেষ ধাপের উপজেলাগুলো হচ্ছে- রংপুরের কাউনিয়া, সদর, গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, সিরাজগঞ্জের
কামারখন্দ, নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর, বরিশালের
মেহেন্দীগঞ্জ, নেত্রকোণার আটপাড়া, শেরপুরের
নকলা,
গাজীপুর সদর, মাদারীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লা দাউদকান্দি, আদর্শ
সদর,
সদর দক্ষিণ উপজেলা এবং নবগঠিত উপজেলা বরগুনার তালতলী, পটুয়াখালীর
রাঙ্গাবালি, রাজবাড়ীর কালুখালি, বাহ্মণবাড়িয়ার
বিজয়নগর, নাটোরের নলডাঙ্গা।
প্রথম ধাপে ৯৭ উপজেলার ভোট দিয়ে ১৯
ফেব্রুয়ারি চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। দ্বিতীয়
পর্বে ১১৬ উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় পর্বে ৮১ উপজেলায় ১৫
মার্চ,
চতুর্থ পর্বে ৯১ উপজেলায় ও পঞ্চম পর্বে ৭৪ উপজেলায় ভোট হয়।
উপজেলা নির্বাচনে প্রথম থেকে তৃতীয় পর্ব
পর্যন্ত ভোটের হার টানা বাড়লেও তাতে ছেদ ঘটেছে চতুর্থ পর্বে।
চতুর্থ পর্বে ৯১ উপজেলায় নির্বাচনে ৫৬ দশমিক
১২ শতাংশ ভোট পড়ে। এর আগে প্রথম পর্বে ৯৭ উপজেলায়
৬২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, দ্বিতীয় পর্বে ১১৬ উপজেলায় ৬৩ দশমিক ৩১ শতাংশ
ও তৃতীয় পর্বে ৬৩ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
এ ৫ ধাপে ৪৫৯ উপজেলায় ভোট শেষে ষষ্ঠ ধাপে ২২
উপজেলার ভোট রয়েছে। বাকি ৬টি উপজেলার মেয়াদ এখনো
উত্তীর্ণ হয়নি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন