শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি রেঞ্জ অফিসারসহ বন কর্মকর্তাদের
বিরুদ্ধে উপকারভোগীদের বাদ দেওয়ার অভিযোগে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে একটি
মামলা দায়ের হয়েছে। বন মন্ত্রনালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, বিভাগীয় বন
কর্মকর্তা, ইউএনও এবং রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ ৩২জনকে বিবাদী করে এ মামলা দায়ের
করা হয়।
মামলার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বালিজুরি সদর বিটের ২০০১ সনের
সৃজিত ১২৭.৫৩ হেক্টর জমিতে উডলট বাগান করা হয়। এতে উপকারভোগী নিয়োগ করা
হয়েছিল ১২৮ জনকে। ওই বাগান উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হবে প্রাপ্ত
সুবিধার চেক । এ তালিকা থেকে ২৩ জনকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এমনকি তাদের
পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ নতুন করে ২৩ জনকে উপকারভোগী বানিয়ে সুবিধা প্রদানের
প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বালিজুরি রেঞ্জ অফিসার মাহবুব আলম।
এসব দুর্নীতির প্রতিবাদে আগের তালিকাভুক্ত উপকারভোগীরা উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা হাবিবা শারমিনের কাছে অভিযোগ করেন। পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ
তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। অবশেষে ওই তদন্ত টিমের প্রতিবেদন
উপেক্ষা কওে আগের ২৩ জন উপকারভোগীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বহাল রাখা হয় নতুন
তালিকাভুক্তদেও । তাদের নামে চেক বিতরণের তালিকা প্রদান করেন রেঞ্জ অফিসার
মাহবুব আলম।
এরই প্রতিবাদে আগের উপকারভোগীরা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলার
আসামী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবা শারমিন, বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা
মাহবুব আলমসহ ৩২জন।
অভিযোগে প্রকাশ, নতন উপকারভোগীদের মধ্যে মৃত ব্যাক্তি, এলাকায় নেই এমন
ব্যাক্তি ও নাবালকসহ নামে বেনামে সদস্য করে চেক প্রদানের প্রতিবেদন দাখিল
করা হয়েছে।পুর্বের উপকারভোগীদের মধ্যে ইউসুব আলী বলেন, আমরা ২০০১ সালে এ
বাগানে এসে চারা রোপন করি। বাগান পাহারা দিয়েছি। ১০ বছর পর নতুন করে কিভাবে
উপকারভোগীর তালিকা করা হয়। এর বিচারের জন্য আমরা মামলা দায়ের করেছি।
Read more »