মোঃ ফেরদৌস আলী, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি‘র বসার জন্য মঞ্চে অধ্যক্ষের চেয়ার না দেয়ায় শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম নাছির উদ্দিনের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবা শারমিনের অশালিন আচরণ, অধ্যক্ষের কক্ষ ভাংচুর ও প্রভাষক মুকিব মিয়ার সাথে দূর্ব্যবহারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কাশ বর্জন ও মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে শ্রীবরদী সরকারি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
জানা গেছে, বুধবার স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের ভেন্যু ছিল শ্রীবরদী সরকারি কলেজ। ওই দিন সকালে স্টেজে স্থানীয় এমপি‘র বসার জন্য অধ্যক্ষের চেয়ার চাওয়া হয়। কিন্তু অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া ওই চেয়ার দিতে অপারগতা প্রকাশ করে কলেজের ইংরেজী প্রভাষক মোঃ মুকিব মিয়া। এ নিয়ে মুকিব মিয়ার সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবা শারমিন। পরে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম নাছির উদ্দিনের কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ নিয়ে কথা বলতে গেলে সঙ্গে যাওয়া স্থানীয়রা অধ্যক্ষের টেবিল ভাংচুর করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবা শারমিন কর্তৃক শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের সাথে অশালীন আচরন ও কক্ষ ভাংচুরের প্রদিবাদে কাশ বর্জন ও মানব বন্ধন করেছে। মানব বন্ধনের বক্তব্য রাখেন শ্রীবরদী সরকারি কলেজের ইংরেজী প্রভাষক মোঃ মুকিব মিয়া, বাংলা প্রভাষক মোতাসীম বিল্লাহ মোঃ আনোয়ারুল মাসুদ, সহকারী অধ্যাপক দর্শন মোঃ ফরহাদ আলী, নাজনীন আখতার, প্রভাষক ইসলাম শিক্ষা ও আরবি মোঃ আঃ মুকিত, প্রভাষক ব্যবস্থাপনা গিলবার্ট রেমা, প্রভাষক গণিত এএনএম কামরুজ্জামান, প্রভাষক মোহাম্মদ শামছুল হাসান খান, প্রভাষক উদ্ভিদ আবু ইউসুফ, প্রভাষক প্রাণিবিদ্যা কাজী হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম নাছির উদ্দিন জানান, স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানের দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এ রকম আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। বিষয়টি তিনি মার্জিত ভাবে বলতে পারতেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবা শারমিন বলেন, ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত ভাবে ঘটে গেছে। যা উপজেলা নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ‘লীগ সভাপতি মোঃ আশরাফ হোসেন খোকা ও আ‘লীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন