শ্রীবরদীতে প্রতারনা করে প্রতিবন্ধি ছেলের জমি লিখে নেয়ায় লম্পট, চরিত্রহীন ও মানবতাবিরোধী মামলার আসামী পিতা জবেদ আলীর বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে তারই প্রতিবন্ধি ছেলে মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক।
শনিবার প্রেসকাব শ্রীবরদী‘র অস্থায়ী কার্যালয়ে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তবে পিতার প্রতারনার স্বীকার প্রতিবন্ধি ছেলে মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তার পিতা জবেদ আলী একজন চিহ্ণিত রাজাকার। তার নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাও রয়েছে। নারী লোভী জবেদ আলীর প্রথম স্ত্রীর গর্ভে সে ও তার এক বোনের জন্ম। কিন্তু চরিত্রহীন বাবা জবেদ আলী তার মাকে তালাক দেয়ার পর বৈধ ও অবৈধভাবে আরও ৮টি বিবাহ করে। ছোট থেকেই আমার মা অন্যের বাসায় কাজ করে আমাদের লালন পালন করে আসছে। আমি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধি হওয়ায় কোন কাজ কর্ম করতে পারিনা। আমার পিতা জবেদ আলী শ্রীবরদী উপজেলার একজন শীর্ষ পর্যায়ের ধনী ও শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও আমাকে অন্যের দান ও দয়ার উপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে। সম্প্রতি শ্রীবরদী শম্ভুগঞ্জ মৌজায় আমার নামে ৩ শতাংশ জমির উপর চোখ পরে আমার লোভি পিতার। আমাকে প্রতারনার মাধ্যমে শ্রীবরদী সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক একটি দলিলে স্বাক্ষর নেয়। পরে আমি জানতে পারি যে, আমার নামে যে ৩ শতাংশ জমি ছিল তা হেবা ঘোষনার মাধ্যমে লিখে নিয়েছে।
প্রতিবন্ধি মোঃ আবু বকর তার লিখিত বক্তব্যে আরও জানায়, আমার লম্পট পিতা সম্পদের অংশ থেকে বঞ্চিত করার জন্য আমার ৯ নম্বর মা জালকাটা গ্রামের নাজমার গর্ভে জন্ম নেয়া সোনিয়াকে সন্তান হিসাবে স্বীকৃতিও দিচ্ছে না।
আমার বাবা জবেদ আলী শ্রীবরদীর প্রভাবশালী লোক হওয়ায় কেউ তার বিচার করতে চায়না।
এ ব্যাপারে মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে শেরপুর সহকারী জজ আদালতে দলিল পন্ডের একটি মামলা করেছে।
পিতা কর্তৃক প্রতারনা করে প্রতিবন্ধি পুত্রের জমি লিখে নেয়া ও সন্তানদের প্রাপ্য হক আদায়ে প্রতারক, নারীলোভী, মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামী পিতা জবেদ আলীর বিচার দাবি করেছে প্রতিবন্ধি পুত্র মোঃ আবু বকর সিদ্দিক।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন