স্টাফ রিপোর্টার
॥
শ্রীবরদীতে শিশু সহ ২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এব্যাপারে শ্রীবরদী থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে শ্রীবরদীতে ২ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আইনশৃংখলা অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
উঠেছে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার হেরুয়া বালুঘাট গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের শিশু পুত্র
ফিরোজ মিয়া (৯) কে কয়েকজন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকে ফিরোজ মিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শুক্রবার সকালে রাস্তার পাশে ধান ক্ষেত থেকে ফিরোজ মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তোফাজ্জল হোসেনের সাথে তার বিমাতা ভাই রুস্তম আলীর
সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ধারনা করা হচ্ছে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের সূত্র ধরেই শিশু ফিরোজ মিয়াকে হত্যা
করা হয়েছে। এ নিয়ে ফিরোজ মিয়ার বাবা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে
বিমাতা ভাই রুস্তম আলী (৬০), রুস্তম আলীর ৩ ছেলে মনির (৩২), ওয়াহাব ( ২৬), কবির (১৮) ও নওশের আলীর ছেলে নূরুল ইসলামের (৩০) নামে
মামলা দায়ের করেছে।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গড়জরিপা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া
গ্রামে ঝুমুর নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বজিৎ দত্তের সাথে ঝুমুরের দাম্পত্ব কলহ চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে বসত ঘরের পাড়ের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শেরপুর মর্গে
প্রেরণ করেছে পুলিশ।
কিন্তু ঝুমুরের বাবার দাবি তার মেয়েকে নির্যাতন করে
হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝুমুরের
বাবা সনেন্দ্র চন্দ্র দাস বাদী হয়ে স্বামী বিশ্বজিৎ দত্ত, শ্বশুর ধিরেন দত্ত, শ্বাশুরী প্রভা চন্দ ও বিশ্বজিতের বোন জামাই নিরঞ্জনের
নামে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
২৪ ঘন্টার ব্যবধানে
শ্রীবরদীতে শিশু ও গৃহবধুর খুনের ঘটনায় উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন
দেখা দিয়েছে।
শ্রীবরদী থানার অফিসার
ইনচার্জ মোঃ বেলাল উদ্দিন তরফদার জানান,
লাশ ২টির ময়না তদন্তের জন্য
শুক্রবার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের
চেষ্টা করা হচ্ছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন