রাজা পাহাড় কে ঘিরে
শ্রীবরদীতে গড়ে উঠতে পারে মনোমুগ্ধকর পর্যটন কেন্দ্র
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি শ্রীবরদীর রাজার পাহাড় এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার সকল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্দ্যেগের অভাবে এই জায়গাটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠছে না। বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও সামান্য উন্নয়ন কর্মকান্ডের অভাবে নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত শ্রীবরদী গারোপাহাড় ও রাজা পাহাড়কে ভ্রমন বিলাসী মানুষের কাছে আকর্ষশণীয় করে তোলা সম্ভব হয়নি।
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় প্রাকৃতি সৌন্দর্য্যের এক অপরুপ লীলাভূমি। গাড়ো পাহাড়ের এ অংশটুকুতে রয়েছে চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ। ছোটখাট পাহাড়,শাল গজারীর গাছ,পাহাড়ের নিচে সবুজ প্রান্তর সব মিলিয়ে ভ্রমন বিলাসীদের আকর্ষণ করার জন্য সক উপাদান ছড়িয়ে আছে এই জায়গায়। বিশেষ করে রাজা পাহাড়ের দৃশ্য সত্যিই নজর কাড়া।
জনশ্রুতি থেকে জানা গেছে,প্রাচীনকালে কোন এক গাড়ো রাজা এখানে বাস করতো। আর সে সময় থেকেই এই পাহাড়টি রাজার পাহাড় নামে পরিচিত। শেরপুর জেলার ভূখন্ড গারো পাহাড়ের যতটুকু অংশ পড়েছে তার মধ্যে রাজার পাহাড়ের উচ্চতাই সবচেয়ে বেশি। এই পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে শতাধিক হেক্টর সবুজে ছাওয়া সমতল ভূমি। এখানে উঠে এলে দূরের আকাশকেও কাছে মনে হয়। সবুজ ও হালকা নীলের নৈসর্গিক এই দৃশ্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
শ্রীবরদী উপজেলা শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই রাজা পাহাড় । রাজা পাহাড়ের পার্শ্বেই রয়েছে আদিবাসী জনপদ বাবেলাকুনা। অনেক আগে থেকেই এই পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে এই গ্রামটি। বনের সবুজে মোড়া এই গ্রামটিও ভ্রমন পিপাসুদের আকৃষ্ট করতে পারে। গারো, হাজং,কোচ অধ্যুষিত আদিবাসীদের রয়েছে ভিন্নমাত্রার সংস্কৃতি সমৃদ্ধ বৈচিত্র ময় জীবনধারা। রয়েছে বন,পাহাড়,প্রাকৃতি বিরূপতা এবং পাহাড়ী জন্তুদের সাথে মিলে জীবন সংগ্রামের এক ভিন্ন চিত্র।
আদিবাসীদের সংস্কৃতি ধরে রাখতে এবং চর্চার কেন্দ্র হিসাবে রয়েছে এখানে বাবলাকোনা কালচারাল একাডেমী,জাদুঘর,লাইব্রেরী,গবেষণা বিভাগ ও মিলনায়তন। যেখানে থেকে আদিবাসী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা সম্ভব পর্যটকদের।
এখানে রয়েছে কর্ণঝোড়া ও ঢেউফা নদী। বর্ষাকালে ঢেউফা নদী জোয়ারে কানায় কানায় উথলে উঠে। কিন্তু শীতে হয়ে শীর্ণকায়া। কিন্তু নদীর স্রোত কখনই বন্ধ হয়না। সারা বছর আপন মনেই বয়ে চলে এই নদী। এর বুকের বিশাল বালুচড় দেখলে মনে হবে পাহাড়ের কূলঘেষা এক বিকল্প সমুদ্র সৈকত।
বাবলাকোনায় আছে কারুকার্য খচিত গির্জা,মন্দির। এখানকার দর্শনীয় প্রকৃতি, আদিবাসীদের জীবনাচরণ ও সংস্কৃতি পর্যটকদের বারবার এখানে আকর্ষন করবে।
কিন্তু সম্ভাবনাময় এই পর্যটন স্থানটিতে নেই কোন পর্যটনের সুবিধা। নেই কোন রেস্ট হাউজ বা আবাসিক হোটেল। নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে অনেক ভ্রমন পিয়াসীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। ক্ষুব্ধ হন তারা। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন যদি এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে বিনির্মানে নজর দিতেন তাহলে এ জায়গাটি যেমন পর্যটকদের নজরে পড়তো-তেমনি এখান থেকে সরকারের বাড়তো রাজস্ব আয়।
শ্রীবরদীতে গড়ে উঠতে পারে মনোমুগ্ধকর পর্যটন কেন্দ্র
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি শ্রীবরদীর রাজার পাহাড় এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার সকল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্দ্যেগের অভাবে এই জায়গাটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠছে না। বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও সামান্য উন্নয়ন কর্মকান্ডের অভাবে নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত শ্রীবরদী গারোপাহাড় ও রাজা পাহাড়কে ভ্রমন বিলাসী মানুষের কাছে আকর্ষশণীয় করে তোলা সম্ভব হয়নি।
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় প্রাকৃতি সৌন্দর্য্যের এক অপরুপ লীলাভূমি। গাড়ো পাহাড়ের এ অংশটুকুতে রয়েছে চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ। ছোটখাট পাহাড়,শাল গজারীর গাছ,পাহাড়ের নিচে সবুজ প্রান্তর সব মিলিয়ে ভ্রমন বিলাসীদের আকর্ষণ করার জন্য সক উপাদান ছড়িয়ে আছে এই জায়গায়। বিশেষ করে রাজা পাহাড়ের দৃশ্য সত্যিই নজর কাড়া।
জনশ্রুতি থেকে জানা গেছে,প্রাচীনকালে কোন এক গাড়ো রাজা এখানে বাস করতো। আর সে সময় থেকেই এই পাহাড়টি রাজার পাহাড় নামে পরিচিত। শেরপুর জেলার ভূখন্ড গারো পাহাড়ের যতটুকু অংশ পড়েছে তার মধ্যে রাজার পাহাড়ের উচ্চতাই সবচেয়ে বেশি। এই পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে শতাধিক হেক্টর সবুজে ছাওয়া সমতল ভূমি। এখানে উঠে এলে দূরের আকাশকেও কাছে মনে হয়। সবুজ ও হালকা নীলের নৈসর্গিক এই দৃশ্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
শ্রীবরদী উপজেলা শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই রাজা পাহাড় । রাজা পাহাড়ের পার্শ্বেই রয়েছে আদিবাসী জনপদ বাবেলাকুনা। অনেক আগে থেকেই এই পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে এই গ্রামটি। বনের সবুজে মোড়া এই গ্রামটিও ভ্রমন পিপাসুদের আকৃষ্ট করতে পারে। গারো, হাজং,কোচ অধ্যুষিত আদিবাসীদের রয়েছে ভিন্নমাত্রার সংস্কৃতি সমৃদ্ধ বৈচিত্র ময় জীবনধারা। রয়েছে বন,পাহাড়,প্রাকৃতি বিরূপতা এবং পাহাড়ী জন্তুদের সাথে মিলে জীবন সংগ্রামের এক ভিন্ন চিত্র।
আদিবাসীদের সংস্কৃতি ধরে রাখতে এবং চর্চার কেন্দ্র হিসাবে রয়েছে এখানে বাবলাকোনা কালচারাল একাডেমী,জাদুঘর,লাইব্রেরী,গবেষণা বিভাগ ও মিলনায়তন। যেখানে থেকে আদিবাসী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা সম্ভব পর্যটকদের।
এখানে রয়েছে কর্ণঝোড়া ও ঢেউফা নদী। বর্ষাকালে ঢেউফা নদী জোয়ারে কানায় কানায় উথলে উঠে। কিন্তু শীতে হয়ে শীর্ণকায়া। কিন্তু নদীর স্রোত কখনই বন্ধ হয়না। সারা বছর আপন মনেই বয়ে চলে এই নদী। এর বুকের বিশাল বালুচড় দেখলে মনে হবে পাহাড়ের কূলঘেষা এক বিকল্প সমুদ্র সৈকত।
বাবলাকোনায় আছে কারুকার্য খচিত গির্জা,মন্দির। এখানকার দর্শনীয় প্রকৃতি, আদিবাসীদের জীবনাচরণ ও সংস্কৃতি পর্যটকদের বারবার এখানে আকর্ষন করবে।
কিন্তু সম্ভাবনাময় এই পর্যটন স্থানটিতে নেই কোন পর্যটনের সুবিধা। নেই কোন রেস্ট হাউজ বা আবাসিক হোটেল। নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে অনেক ভ্রমন পিয়াসীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। ক্ষুব্ধ হন তারা। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন যদি এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে বিনির্মানে নজর দিতেন তাহলে এ জায়গাটি যেমন পর্যটকদের নজরে পড়তো-তেমনি এখান থেকে সরকারের বাড়তো রাজস্ব আয়।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন