শ্রীবরদী নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
সরকার যায় সরকার আসে কিন্তু দুঃখ ঘুচছে না শ্রীবরদীর সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনের। দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে চলছে ভায়াডাঙ্গা বালিজুরি সড়কের কাজ। কবে শেষ হবে এ উত্তর জানা নেই কারও। দীর্ঘ দিনেও সড়কটির নির্মান কাজ শেষ না হওয়ায় এ অঞ্চলের লোকজনের দূভোর্গ চরম আকার ধারন করেছে।
জানা গেছে শ্রীবরদীর রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জনপথ বালিজুরি, খাড়ামোড়া, রাঙ্গাজান, হালুয়াাটি, কোচপাড়া, অফিসপাড়া, ঝিনাইগাতির দুধনই, তাওয়াকোচা গ্রামগুলো। ভারতীয় সীমান্ত ঘেষে বাংলাদেশী গ্রামগুলোর অবস্থান হওয়ায় এমনিতেই লোকজন সর্বদা থাকে আতঙ্কে। রয়েছে হাতির উপদ্রুপ। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটিই। বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস ও তাওয়াকোচা বিজিবি জওয়ানদেরও নির্ভর করতে হয় এ সড়কটির উপর। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই এ সড়ক দিয়ে পায়ে হেটে চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
এলাকাবাসী রফিকুল, আবুল, গুলজার, গোলাপ, ফারুক সহ অনেকে জানায় নির্বাচনের সময় সকল এমপি প্রার্থিরাই এ সড়কটির কথা বলে আমাদের ভোট নেয়। কিন্তু ভোটে জিতে আর তাদের প্রতিশ্রুতির কথা মনে থাকে না। তারা জানায়, ১৯৯৬ সালে সাবেক এমপি এম এ বারী ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত পাকা করেন। এর পর ২০০১ সালে মাহমুদুর হক রুবেল বালিজুরি বাজার থেকে কিছু ও এমএ বারী সাহেবের বাড়ি থেকে মালাকোচা স্কুল পর্যন্ত পাকা করেন। মাঝখানে আড়াই কিলোমিটারের মতো পড়ে থাকে কাচা। সামান্য বৃষ্টিতেই এ আড়াই কিলোমিটার রাস্তা পার হওয়া কঠিন। আবার শুষ্ক মৌসুমে অত্যধিক বালি ও উচু নিচুর কারণে চলাচল কষ্টকর। আর এ আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কারণেই পন্য আনা নেয়া সহ চলাচলে চরম দূভোর্গ পোহাচ্ছে হাজার হাজার লোকজন।
শ্রীবরদী এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আইআইআর ডিপি‘র অর্থায়নে এ ১ কিলোমিটার নতুন রাস্তার ২০১০ সালে ২১ সেপ্টেম্বর ৪০ লক্ষ ৩ হাজার টাকার রাস্তা নির্মানের কার্যাদেশ পায় মেসার্স মেজবাহ, চাঁদনী এন্ড খুশি এন্টার প্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ মোতাবেক রাস্তাটির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১১ সালের ২৬ মার্চ।
গত শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সামান্য বৃষ্টিতেই কাদায় একাকার হয়ে গেছে রাস্তা। আটকে পড়েছে এ এলাকার পন্য আনা নেয়ার একমাত্র মাধ্যম অনেকগুলো ঘোড়ার গাড়ি। এলাকাবাসীর অভিযোগ বর্তমান এমপি ফজলুল হক চাঁন নির্বাচনের সময় এ রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার প্রতিশ্র“তি দেন। সে অনুযায়ী মালাকোচা প্রাইমারী স্কুল থেকে ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজও শুরু হয়। কিন্তু এলজিইডি অফিস ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তায় শুধু খোয়া ফেলে দীর্ঘ দিন থেকে লাপাত্তা। কার্যাদেশের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে ১ বছর চললেও তদারকি প্রতিষ্ঠান শ্রীবরদী এলজিইডি অফিস এর কোন তথ্যই জানেনা। এতে চলাচলের সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারন করেছে।
এ ব্যাপারে রানীশিমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু শাহমা কবির বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকার এ রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফরেস্ট বাগান, সীমান্তরক্ষী ও হাজার হাজার এলাকাবাসী এ সড়কের কারণে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। কি কারণে রাস্তায় শুধু ইটের খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে তা আমার জানা নেই। শ্রীবরদী উপজেলা প্রকৌশলী তোজাম্মেল হক কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।


0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন