৪ লাখ মানুষের জন্য ১ জন ডাক্তার
উদ্ভোধনের ১বছর পার হলেও চালু হয়নি শ্রীবরদীর ৫০ শয্যা হাসপাতাল
মোঃ কামরুজ্জামান আবু
উদ্ভোধনের ১ বছর অতিবাহিত হলেও প্রশাসনিক অনুমোদন না পাওয়ায় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মিত শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সটি আজও চালু করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু চালু হওয়ার আগেই মূল হাসপাতাল ভবনে দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি ফাটল। অপরদিকে জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনে ৯ জন ডাক্তারের স্থলে ২জন মাত্র ডাক্তার দিয়ে চলছে প্রায় ৪ লক্ষ উপজেলাবাসীর চিকিৎসাসেবা। রয়েছে যন্ত্রপাতি ও কর্মচারী সংকট। নানা সমস্যায় জর্জরিত শ্রীবরদী হাসপাতাল এখন নিজেই রুগী। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সীমান্তবর্তি শ্রীবরদীবাসি।জানা গেছে জনসংখ্যার আধিক্য বিবেচনায় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিএমএমই বিভাগ ৩১ শয্যা বিশিষ্ঠ স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সটিকে গত ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে। সে লক্ষে ১২ মে ২০০৮ সালে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১০ সালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বুঝিয়ে নেয়ার পর গত বছর ১৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চাঁন হাসপাতালের বর্ধিত ভবনের উদ্ভোধন করেন। বর্ধিত অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে দুইতলা বিশিষ্ঠ ১৯ বেডের ওয়ার্ড, ৩টি অত্যাধুনিক অপরারেশন থিয়েটার, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চেম্বার, ৩ তলা বিশিষ্ট ডাক্তারদের আবসিক কোয়ার্টার, ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের জন্য পৃথক আবাসিক কোয়ার্টার। কিন্তু উদ্ভোধনের ১বছর অতিবাহিত হলেও ৫০ শয্যা হিসাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ জনবল, যন্ত্রপাতি এবং প্রশাসনিক অনুমোদনের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। হাসপাতাল মূল ভবনে এরি মধ্যে দেখা দিয়েছে বেশ কয়েটি ফাটল। ভাঙ্গছে জানালার কাচ। ভেতরের কাঠের দরজাও ঠিক নেই। পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তাছাড়া বর্তমানে ৩১ শয্যার জন্য এ হাসপাতালে ডাক্তারের পদ রয়েছে ৯ টি। এর মধ্যে আছেন মাত্র একজন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সার্বক্ষনিক প্রশাসনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। একমাত্র রাণীশিমুল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের ডাঃ আয়শা সিদ্দিকা দীর্ঘদিন থেকে অদৃশ্য কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। একজন মাত্র মেডিকেল অফিসার দিয়ে জোরাতালি দিয়ে চলছে শ্রীবরদী হাসপাতালের চিকিৎস সেবা। শুন্যরয়েছে ফামর্িিসস্টের ১টি, স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ২টি স্বাস্থ্য সহকারী ৬টি, অফিস সহকারি ১টি, এমএলএসএস ২টি সহ সুইপারের ৩টি পদ। ফলে পাহাড়ি অধ্যুষিত এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের হাতুড়ে ডাক্তার ও ঝাড়ফুকে চিকিৎসা করতে হচ্ছে।
শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ডাক্তার ও ৫০ শয্যা হসপাতালের প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রতিদিন আউটডোর ও ইনডোর মিলে ২‘শ থেকে আড়াইশত মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে হাসপাতালে ভিড় জমায়। কিন্তু ডাক্তার ও জনবল সংকটে স্বাস্থ্য সহকারীদের দিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। উপজেলাবাসী আধুনিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ৯জন ডাক্তারের মধ্যে কাগজে কলমে ২ জন ডাক্তার কর্মরত থাকলেও ডাঃ ফারজানা গত ২৪ অক্টোবর যোগদান করেই চলে গেছেন।

niyomito hok
sreebardinews24